Oropharyngeal cancer – Symptoms, diagnosis and treatment
‘ওরোফ্যারেনজিয়াল’ নামের সাথেই কিন্ত এই ক্যান্সারের অবস্থান সম্পর্কে বোঝা যায়| ওরাল শব্দটির মানে আমার সকলেই জানি| ঠিক তাই, এটি মূলত মুখের ক্যান্সার| আমাদের মুখের পিছনের অংশের নরম জায়গাটিতেই এর আধিপত্য বিস্তার হয়| মুখের ভিতরে ওপরের তালুর অংশ থেকে শুরু করে জিভের নীচের দিকের অংশ, গলবিল এবং টনসিলকে ক্ষতিগ্রস্থ করে| যারা অত্যাধিক পরিমানে ধূমপান করেন, তাদের এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুন বেশি| যদিও বা ভারতে কয়েকটি সাধারণ ক্যান্সারের মধ্যে এই ক্যান্সারটি রয়েছে, তবুও আমাদের সচেতন থাকা উচিৎ, তেমনটাই মনে করছেন শ্রেষ্ঠ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা| তেমনই কলকাতার শ্রেষ্ঠ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একজন হলেন ডাক্তার অর্ঘ্য বসু|
চলুন জেনে নেওয়া যাক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা কোন কোন উপসর্গের প্রতি নজর রাখার জন্য বলেছেন|
১. মুখের কাজে বাধা
আমরা আগেই জেনেছি, যেহেতু এটি মূলত মুখের অংশের ক্যান্সার, তাই এই ক্যান্সার হলে মুখের যাবতীয় কাজ যেমন শ্বাস প্রশ্বাসের কাজ, কথা বলা, খাবার খাওয়া ও জল পান করাও খুব কঠিন কাজ হয়ে ওঠে|
২. গলা ব্যথা
ধীরে ধীরে এই ক্যান্সার যখন মুখে ছড়াতে শুরু করে তখন চোয়াল শক্ত হয়ে যায়, তাই রোগী পুরো মুখ খুলতে পারে না| গলার ব্যথা শুরু হয়| গলার স্বাভাবিক স্বর বদলে গিয়ে খরখরে হয়ে যায়| কাশি তো হয়েই, তার সঙ্গে বেরোয় রক্তও|
৩. কানে ব্যথা
যেহেতু গলার সঙ্গে কানের সংযোগ রয়েছে, তাই গলা ব্যথা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কানেও খুব ব্যথা শুরু হয়| কোনো কোনো সময়ে ঘাড় ঘোরানো পর্যন্ত যায় না, ঘাড়ে তীব্র যন্ত্রণার ফলে|
৪. টিউমার
ক্যান্সারের মুখ্য উপসর্গ হিসেবে যে টিউমার জানান দেয়, তা নিশ্চই সবারই জানা| তেমনই মুখে ক্যান্সার হলেও টিউমার হয় এবং টিউমারের জায়গা ক্রমশ ফুলতে থাকে| এছাড়াও যেহেতু জিভেও এর প্রভাব পরে, তাই জিভের সাধারণ গতিবিধিও ব্যাহত হয়|
৫. মুখে ঘা
এই ক্যান্সার হলে বেশিরভাগ সময়ে মুখের ভিতর ঘা বা আলসার হয়, তখন ওষুধ খেলে কিংবা সহজে তা সেরে ওঠে না, উপরন্তু বাড়তেই থাকে|
৬. দাঁতের ওপর প্রভাব
যেহেতু এটি মুখের ক্যান্সার, সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই মুখের ভিতরের অংশগুলিতেও এর অল্প বিস্তর প্রভাব পড়বেই| তেমন দাঁতও কিন্তু এর থেকে রেহাই পায় না| প্রথমে দাঁতে খুব ব্যথা হয়, তারপরেই দাঁত নড়তে শুরু করে|
৭. সাধারণ উপসর্গ
• কয়েকটি লক্ষণ যা আমরা প্রায় বেশিরভাগ সব ক্যান্সারের ক্ষেত্রেই দেখে থাকি| যেমন হটাৎ করেই কোনো কারণ ছাড়া দেহের ওজন কমতে থাকে, একটা সময় আসে তখন শরীর একদম শীর্ণকায় হয়ে পরে|
• দিনের পর দিন খাওয়ারের পরিমান কমতে থাকে| কোনো খাবারের প্রতি রুচি থাকে না| খেতে ইচ্ছেও করে না|
• শরীর সব সময় ক্লান্ত থাকে| এমনকি কোনো কাজ না করেও যদি বসে থাকা হয়, তারপরেও শরীর পরিশ্রান্ত লাগে| পরিশ্রম করার ইচ্ছা চলে যায়|
এর মধ্যে কোনো লক্ষণ যদি আপনি বুঝতে পারেন, তাহলে অতি শীঘ্রই ডাক্তারের কাছে যান|