Cancer Diet Plan for Diabetic Patients

Card image cap

৮-১৮% ক্যান্সার রোগীদের ডায়াবেটিস দেখা দেয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে, ক্যান্সারের চিকিত্সার জন্য ডায়াবেটিসের চিকিত্সা পিছিয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন একটি বিশেষ ডায়েট প্ল্যান, যা উভয় রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে। এমনই একটি সুষম ডায়েটের জানান দিলেন কলকাতার বিশিষ্ট  ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডঃ অর্ঘ্য বসু।

ক্যান্সারে আক্রান্ত ডায়াবেটিস রোগীদের কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত?

চিনিযুক্ত পানীয়, যেমন- চা এবং কফিতে চিনি।
শীতল পানীয়, যেমন- সোডা, সফ্ট ড্রিঙ্কস।
ভাজা খাবার, বেকারি পণ্য, যেমন- কেক, মাফিন।
প্যাকেটজাত/প্রক্রিয়াজাত খাবার।
ময়দা।
উচ্চ চর্বিযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস, যেমন- সসেজ জাতীয় খাবার।

রক্তে শর্করার পরিমাণের ওপর সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলে কার্বোহাইড্রেট, কারণ কার্বোহাইড্রেট ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয়। স্টার্চ, সুগার এবং ফাইবারের মতো তিন ধরনের কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে সুগার এবং স্টার্চযুক্ত কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। আপনার খাদ্যতালিকায় কম থেকে মাঝারি মাত্রায় কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার রাখুন। যা আপনার রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করবে এবং ডায়াবেটিস-সম্পর্কিত জটিলতার ঝুঁকি কমাবে।

ডায়াবেটিস সহ ক্যান্সার রোগীদের জন্য কোন খাবার ভালো?

একটি খাবার কত ধীরে বা কত দ্রুত আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে তার নির্ধারিত মান হল গ্লাইসেমিক সূচক। কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবারের স্কোর ৫৫-এর নিচে থাকে। এই খাবারগুলিতে কার্বোহাইড্রেট ভেঙে যেতে বেশি সময় নেয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা খুব ধীরে বাড়ায়।

ডিম – এতে প্রোটিন বেশি থাকে, যা ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এর গ্লাইসেমিক সূচক কম। তবে ডিমে কোলেস্টেরল বেশি থাকায় ডায়াবেটিস রোগীরা ডিমের সাদা অংশ প্রতিদিন খেতে পারেন, তবে ডিমের কুসুম সপ্তাহে তিনবারের বেশি খাবেন না।

দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার – দুধ, দই ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে একটি সুষম খাদ্য হিসাবে সাহায্য করতে পারে। তবে ঘুমানোর আগে দুধ খাওয়া এড়িয়ে চলুন কারণ তখন কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো নাও হতে পারে।

ফল – আপেল, অ্যাভোকাডো, চেরি, আঙুর, কিউই ফল, কমলালেবু, প্লামস এবং মাঝারি পাকা কলার মতো ফলগুলির গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকায় এই ফলগুলি খেতে পারেন।

আমিষ খাবারের মধ্যে মুরগির মাংস, মাছ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক খাবার খেয়ে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারেন।

কলকাতার বিশিষ্ট  ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডঃ অর্ঘ্য বসুর মতে, উপরিউক্ত প্রয়োজনীয় খাবারগুলির সমন্বয়ে একটি সুষম ডায়েট মেনে চললে এবং অপ্রয়োজনীয় খাবারগুলি এড়িয়ে চললে, ক্যান্সার রোগীরাও তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

Read More →