Cancer and Its Treatment in Kolkata
‘ক্যানসার’ শব্দটা শুনলে সকলের মনে ভয়ের জন্ম হয়। এই ভয়টা হল মৃত্যু ভয়। কারণ ‘ক্যানসার’ হল এমন একটা রোগ যার আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। যদিও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান আজ যথেষ্ট উন্নত তাই খুব সহজেই এই মারণ রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। আমাদের শরীরে অনেক সময় টিউমার বা মাংস পিন্ড তৈরি হতে দেখা যায়। কিন্তু শরীরে জন্মানো মাংস পিন্ড বা টিউমার অনেক সময় শরীরের অন্যত্র ছড়িয়ে পরে একেই বলে ক্যানসার, তবে সব টিউমার কিন্তু ক্যানসার হয় না। এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার ক্যানসার অনেক প্রকারের হয়ে। কিন্তু কলার উৎস অনুযায়ী ক্যানসারকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। ১.কারসিনোমা, ২.সারকোমা, ৩.লিম্ফোমা, ৪.লিউকেমিয়া।
ক্যানসারের আক্রান্ত হওয়ার কারণগুলিও অনেক। প্রথমত, যদি কোনও ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কারুর ক্যানসার থাকে তাহলে তারও ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। ধূমপান, মদ্যপান, পান, জর্দা, সুপারি খাওয়া ফলে মুখে, গলায়, ফুসফুস ও যকৃতের ক্যানসার হতে পারে। এছাড়াও অতিবেগুনি রশ্মি প্রভাবে ও রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে ত্বকের ক্যানসার ও অন্যান্য ক্যানসার হতে পারে।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এখন যথেষ্ট উন্নত। বর্তমান সময় অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, হরমোন থেরাপি ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, যার মাধ্যমে ক্যানসারের চিকিৎসা করা হয়। তবে ক্যানসার মতো মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি রোগীর আত্মবিশ্বাস বাড়ানোটাও জরুরি। কারণ অনেক সময় রোগীরা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। তাই চিকিৎসক ও রোগীর পরিবারের সদস্যদের সব সময় রোগীর পাশে থাকতে হবে। তাহলেই সে এই মারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে।
তবে সব সময় একজন সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই চিকিৎসা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এমনি একজন বিখ্যাত ক্যানসার চিকিৎসক হলেন ল্যাপারোস্কোপিক, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ও অনকোলজিস্ট সার্জন ডাঃ অর্ঘ্য বসু। দেশে প্রসিদ্ধ চিকিৎসা কেন্দ্রগুলি থেকে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বিআর সিং হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র। ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ কর্মজীবনে বহু ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করেছেন তিনি।
তবে যদি ক্যানসার চিকিৎসায় আগে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার দিকে নজর দেওয়া হয়, তাহলে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও অনেক কমে যাবে। ক্যানসার এড়িয়ে চলার জন্য প্রতিদিন শরীরচর্চা করা যেমন- ব্যায়াম, সাইকেলিং ও দৌড়ানো উচিত। ধূমপান, মদ্যপান, সুপারি জর্দা, তামাক পাতা খাওয়া বন্ধ করতে হবে। চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। ফল ও শাকসবজি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।
এছাড়াও রোদে বেরনোর সময় সানস্কিন লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, শরীরে কোনও অস্বাভাবিক কোনও কিছু দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ ক্যানসারের চিকিৎসা যত তাড়াতাড়ি শুরু হবে ততই তাড়াতাড়ি এই রোগের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে।
Read More →