What is the survival rate of patients with stage III or IV breast cancer?

Card image cap

স্তন ক্যান্সার মহিলাদের জন্য একটি মারাত্মক আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধীরে ধীরে এই রোগটি বিপুল আগ্রাসী হয়ে উঠছে। সেরে যাওয়ার পরেও রোগীর দেহে ফিরেও এসেছে এই রোগ। এমত অবস্থায় ক্যান্সারের তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েও রোগী কী ফিরে আসতে পারে মৃত্যুর মুখ থেকে? সেই বিষয়েই আলোকপাত করলেন  স্তন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডঃ অর্ঘ্য বসু।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর সমীক্ষা অনুসারে, প্রতি ২২ জন ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে ১ জন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। ভারতে ২০-৩০ বছরের মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন স্তন ক্যান্সারে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হল, প্রায় ৫০ শতাংশ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলারা তৃতীয় পর্যায়ে চিকিত্সকের কাছে যান। আবার প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ রোগী একেবারে অন্তিম অর্থাৎ চতুর্থ পর্যায়ে চিকিত্সা শুরু করেন। ফলে আক্রান্তদের প্রায় ৫০ শতাংশ রোগীই মৃত্যুর সম্মুখীন হচ্ছেন। অর্থাৎ, স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে অজ্ঞতা বা এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি চিনতে না পারার ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর চিকিত্সা শুরু করতে দেরি হচ্ছে, ফলে বাড়ছে মৃত্যুর হার।

 তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ে স্তন ক্যান্সারের রোগীদের বাঁচার হার কতখানি?

যেকোনো ক্যান্সারের ক্ষেত্রে বাঁচার হার রোগী ও রোগের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির সমীক্ষা অনুসারে তৃতীয় পর্যায়ের স্তন ক্যান্সারের রোগীদের আপেক্ষিক ৫ বছর বাঁচার হার ৮৬ শতাংশ। যদিও ক্যান্সারের গ্রেড বা সাবটাইপের মতো স্তন ক্যান্সারের বৈশিষ্ট্য অনুসারে বাঁচার হার ভিন্ন হতে পারে। আবার, চতুর্থ পর্যায়ে ৫ বছর বেঁচে থাকার হার ২৭ শতাংশে নেমে আসে।

বর্তমানে চিকিত্সা ব্যবস্থার অগ্রগতির সাথে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আয়ু বৃদ্ধি পাচ্ছে। তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ে স্তন ক্যান্সারের রোগীদের আয়ু বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন :

 রোগীর বয়স
 রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য
 চিকিত্সার প্রতিক্রিয়া
 টিউমারের আকার

এই বিষয়গুলির ওপর স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর আয়ু বা বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নির্ভর করে।

স্তন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডঃ অর্ঘ্য বসু-র মতে, প্রাথমিক বা দ্বিতীয় পর্যায়ে ধরা পড়লে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। তৃতীয় পর্যায়ে চিকিত্সা শুরু করতে পারলেও প্রায় ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। এমনকি একেবারে অন্তিম পর্যায়ের শুরুতেই চিকিত্সা শুরু করতে পারলে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়। তাই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগীর বাঁচার আর কোনও আশা নেই — এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই!

Read More →