Role of chemotherapy in treating cancer

Card image cap

কেমোথেরাপি ক্যান্সার রোগে যে বিশেষ কার্যকারিতায় অংশগ্রহণ করে, তা আর বলার বাকি রাখে না| ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে এর মতো আর কোনো বিকল্প পদ্ধতির জুড়ি মেলা ভার| এটি অনেক পুরোনো একটি পদ্ধতি| শোনা যায় সেই গ্রীকদের সময়কাল থেকে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে আসছে| তাই এখনো পর্যন্ত কেমোথেরাপির সার্জেন্টরা ক্যান্সার রোগীদের ওপরে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে আসছেন| তবে এটি একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা পদ্ধতি| তাই এই পদ্ধতি তখনই প্রয়োগ করা হয়, যখন এর খুব প্রয়োজন হয়| এর নানান ভূমিকা রয়েছে| তাই এই বিষয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন শ্রেষ্ঠ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা| তেমনই  কলকাতার শ্রেষ্ঠ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একজন হলেন ডাক্তার অর্ঘ্য বসু| চলুন এর সম্মন্ধে জেনে নেওয়া যাক|
কেমোথেরাপি দেওয়ার সময়:-
এই প্রশ্নটা অনেকেরই রয়েছে যে কখন এই কেমোথেরাপি দেওয়া হয়| সেই উত্তরই এবার জানবার পালা| শরীরে অল্প মাত্রায় ক্যান্সার কোষ থাকলে এর প্রয়োজনীয়তা খুব একটা বেশি পরে না| কিন্তু যদি শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ক্যান্সার কোষ থেকে থাকে তখন কেমোথেরাপির প্রয়োজন হয়| অনেক সময় ক্যান্সার কোষ সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায় না| এর ফলে যত সময় যেতে থাকে সেই ক্যান্সার কোষগুলো একটার থেকে আলাদা হয়ে চারপাশের কোষগুলিকে আক্রমণ করতে শুরু করে দেয়| ধীরে ধীরে তা লিভার এবং ফুসফুসের মতো আরো বিশেষ বিশেষ অঙ্গেতে থাবা বসাতে থাকে| ঠিক এখানেই কেমোথেরাপি প্রয়োজন হয়| প্রাথমিক পর্যায়ে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শরীর থেকে ক্যান্সারের টিউমার সহ তার আসেপাশের টিস্যুও কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়| তার পরেও যদি কোনো ক্যান্সার কোষ থাকে, তখন কেমোথেরাপি দেওয়া হয়| আবার অনেক সময় অস্ত্রপচারের আগেও কেমোথেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে, এরফলে টিউমারটি আকারে ছোটো হয়ে যায়, তখন অস্ত্রোপচার করে কেটে বাদ দিতে সুবিধা হয়|
রেডিওথেরাপির মাধ্যমে যদিও ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা যায়, তবে রেডিওথেরাপি অল্প জায়গায় দেওয়া সম্ভব নয়, তাই ক্যান্সারের কোষ ছাড়াও তার আশেপাশের সুস্থ্য কোষগুলির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়|
যে সমস্ত রোগীদের ক্যান্সার কখনোই পুরোপুরি সুস্থ্য হওয়ার নয়, তাদের কিছুটা হলেও সুস্থ্য বোধ করাতে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়|
কেমোথেরাপি কিভাবে কাজ করে:-
কেমোথেরাপি এমনি এক চিকিৎসা পদ্ধতি, যা শরীরের যেখানেই ক্যান্সার কোষ পাবে তা ধ্বংস করে দেবে| শুধু তাই নয়, খুঁজে খুঁজে শুধুমাত্র ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষগুলিকেই ধ্বংস করে, আর চারপাশের বাকি সুস্থ্য কোষগুলিকে যতটা সম্ভব কম নষ্ট করে|
মূলত ক্যান্সারের চতুর্থ কিংবা পঞ্চম পর্যায়ের রোগীদের এই কেমোথেরাপি দেওয়া হয়| কেমোথেরাপি দেওয়ার প্রধান তিনটি কারণ আছে| প্রথমটি হলো, ক্যান্সারের লক্ষণগুলিকে কম করা| দ্বিতীয় কারণটি হলো ক্যান্সার রোগটিকে নিয়ন্ত্রনে রাখা| আর তৃতীয় ও শেষ কারণ হলো, ক্যান্সার রোগ পুরোপুরিভাবে নির্মূল করা|
নব্বই দশকের দিক থেকে কেমোথেরাপির প্রয়োগ ক্যান্সার চিকিৎসায় জনপ্রিয়তা লাভ করে| তারপর যত দিন যেতে থাকে এর কার্যকারিতা ও প্র্রয়োগ পদ্ধতি তত বেশি উন্নতি পাচ্ছে, যা বর্তমানে ক্যান্সার চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য স্থান রাখছে|

Read More →