Proper nutrition of children with cancer
প্রত্যেক শিশুর সঠিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পুষ্টি। তবে ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। তাদের শক্তি বজায় রাখতে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মোকাবিলা করতে, হাইড্রেটেড থাকতে হবে, শুধুমাত্র ডাক্তার-প্রস্তাবিত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে এবং উচ্চ ক্যালোরি ও প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে।
শিশুদের ক্যান্সার ধরা পড়লে তাদের পুষ্টির ক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের যে বিষয়গুলি নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে, সেগুলির দিকে আলোকপাত করলেন বিশিষ্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডঃ অর্ঘ্য বসু।
শিশুর শরীর হাইড্রেটেড রাখা
ক্যান্সার চিকিত্সাধীন শিশুদের প্রায়শই পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেসন হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতি এড়াতে, শিশুকে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর পানীয়, যেমন ফলের রস খেতে হবে এবং জলের পরিমাণ বেশি এমন ফল ও শাকসবজি খেতে হবে।
শিশুকে সঠিক খাবার খাওয়ানো
সাধারণত, ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের শরীরে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির চাহিদা বেশি থাকে।
প্রোটিন শরীরের বৃদ্ধি, টিস্যু মেরামত, রক্তকণিকা তৈরিতে এবং রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে পূরণ করতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত প্রোটিন শিশুর রেডিয়েশন এবং কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে দ্রুত নিরাময় করতে ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। পনির, ডিম, দুধ, দই, চর্বিহীন মাংস, মুরগি, মাছ, মটরশুটি, মসুর ডাল এবং সয়া জাতীয় খাবার প্রোটিনের ভালো উৎস।
কার্বোহাইড্রেট শরীরের জ্বালানী, কোষের জন্য শক্তি প্রদান করে এবং অঙ্গের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কার্বোহাইড্রেটের ভাল উত্স হল- ভাত, রুটি, পাস্তা, আলু, চাল, সিরিয়াল, ফল, ভুট্টা এবং মটরশুটি। কার্বোহাইড্রেট কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে, যা ক্যান্সার চিকিত্সার একটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
চর্বি/ফ্যাট শরীরের শক্তি সঞ্চয় করতে এবং রক্তে নির্দিষ্ট ভিটামিন বহন করতে সহায়তা করে। চিকিত্সার সময় শিশুর ওজন যাতে না কমে, তাই ক্যালোরিতে ঘন এই চর্বি ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও সব চর্বি এক না। মাছ, বাদাম, জলপাই-এর তেল এবং অ্যাভোকাডোতে পাওয়া অসম্পৃক্ত চর্বি- স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাটের চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
এছাড়া ক্যান্সার চিকিত্সাধীন শিশুদের সহজে খাওয়ানোর জন্য কিছু টিপস দিলেন বিশিষ্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডঃ অর্ঘ্য বসু।
ছোট অংশে ঘন ঘন খাবার খাওয়ান।
সবসময় হাতের কাছে খাবার রাখুন।
অ্যাসিডিক খাবার এড়িয়ে চলুন।
গিলতে সহজ এমন খাবার দিন।
শিশু যদি তীব্র গন্ধ বা স্বাদের প্রতি সংবেদনশীল হয়, তবে সাধারণ খাবার যেমন রুটি, ভাত এবং ঝোল জাতীয় স্যুপ খাওয়ান।
চিকিত্সাধীন শিশুরা সাধারণত খুব গরম বা খুব ঠান্ডা খাবারের বদলে ঘরের তাপমাত্রায় খাবার খেতে পছন্দ করে।