How do you know if you have colon cancer?
কোলন আমাদের শরীরের একটি বিশেষ প্রয়োজনীয় অঙ্গ| এর মাধ্যমে শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ বেরিয়ে যায়| সেই স্থানে ক্যান্সার হলে কি করে বুঝবেন? অবশ্যই তার কিছু না কিছু লক্ষণ প্রকাশ তো পাবেই| সেই লক্ষণগুলি সম্পর্কে আমরা যদি অবগত থেকে, সেই অনুযায়ী প্রথম পর্যায়েই যথাযথ চিকিৎসা শুরু করে দিতে পারি তাহলে ৯৫% অব্দি সুস্থ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে| তাই মনে করছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা| তেমনই কলকাতার শ্রেষ্ঠ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একজন হলেন ডাক্তার অর্ঘ্য বসু| মোটামোটি একটু বয়স বাড়লেই এই রোগের সম্ভাবনা তৈরী হয়ে যায়| তবে বর্তমান যুগে ৩৫ বছর বয়সেও কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ছে| চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই ক্যান্সারের লক্ষণগুলি|
প্রথমত, কোলনে ক্যান্সার হলে প্রথমদিকে কিছু বোঝা যায় না| কিন্তু কিছুদিন পরে পেটে ব্যথা শুরু হয়| দীর্ঘ দিন যাবৎ এই ব্যথা চলতে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক|
পায়খানা করার সময় খেয়াল রাখবেন যে পায়খানা দিয়ে বা মলদ্বার দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে কি না| কোলনে ক্যান্সার হলে এটি খুব স্বাভাবিক একটি উপসর্গ| রক্ত যে সব সময় লাল রঙের আভা নিয়েই বেরোবে এমন নয়| কালো লম্বা সরু পায়খানার আকারেও বেরোতে পারে|
কোলনে ক্যান্সার হলে, যদি সেই স্থানের টিউমারের আকার বাড়তে থাকে, তাহলে কোলনকে তা ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলবে| এতে কোলনের কার্যকারিতার বিঘ্ন ঘটবে| তার ফলে বিভিন্ন ধরণের উপসর্গ শরীরে দেখা দেবে| এর মধ্যে প্রধান হলো অস্বাভাবিক পেটে ব্যথা| পেটের আকারেরও পরিবর্তন ঘটে| সাধারণ অবস্থার চেয়ে বড়ো হয়ে যায়|
কোনো কারণ নেই, কিন্তু ওজন কমতে থাকে| পায়খানা প্রচন্ড পরিমানে শক্ত হয়ে যায়| এমনকি পায়খানা করার পরও মনে হয় যে পেট পুরোপুরি পরিষ্কার হয়নি, পেটের মধ্যে এখনো মল রয়েছে| সারাক্ষন একটি বমি বমি ভাব থেকেই যায়, তার সাথে গা গুলিয়ে ওঠা তো রয়েছেই|
স্বাভাবিক অবস্থায় আপনি দিনে যতবার পায়খানা করেন, হটাৎ করে যদি দেখেন আপনার সেই পায়খানা করার সংখ্যা বেড়ে কিংবা কমে যাচ্ছে, এবং তা বেশ কয়েকদিন ধরেই হচ্ছে| তাহলে সতর্ক হন| এই উপসর্গটি তেমন বিশেষ না হলেও, একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতনও নয়| কারণ অনেক ছোটো ছোটো সাধারণ উপসর্গ আমরা বেশির ভাগ সময় নজর দিয় না| কিন্ত সেই উপসর্গগুলিও কিন্তু কোনো বড়ো রোগের জানান দিতে হাজির হতে পারে|
যেহেতু কোলনে ক্যান্সার হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমান রক্ত বেরিয়ে যায়, তাই রক্তাল্পতার মতো রোগ শরীরে বাসা বাধে| এরফলে, সারাক্ষণই ব্যক্তির শরীর খুব দুর্বল লাগে, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায়|
ওপরের সমস্ত উপসর্গগুলি খুবই পরিচিত, তাই হটাৎ করে কোলনে ক্যান্সার হলে তা সহজে বোঝা যায় না| সেই কারণে এই উপসর্গগুলির মধ্যে কোনো একটি দেখা দিলেও, সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ| বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে কোলনে ক্যান্সার হয়েছে কি না সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়|