Causes of skin cancer and preventive measures
ক্যান্সার রোগ শুধুমাত্র যে শরীরের ভিতরেই হয়, তা কিন্তু নয়| তা শরীরের বিভিন্ন বাহ্যিক অংশেও হতে পারে| তেমনই একটি বাহ্যিক ক্যান্সার হলো ত্বকের ক্যান্সার| যত দিন যাচ্ছে তত ত্বকের ক্যান্সার ক্রমশ বেড়েই চলেছে|উত্তর ভারতে এই রোগের রাজত্ব তুলনামূলকভাবে বেশি রয়েছে| বিভিন্ন ক্যান্সার যেমন বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে, তেমনি ত্বকের ক্যান্সারও অনেক কারণে হয়ে থাকে| যদি কারণগুলি আমরা আগে থেকে জানতে পারি, তাহলে সচেতন হতে পারবো| সেই কারণগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন সমস্ত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা| তেমনই কলকাতার শ্রেষ্ঠ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একজন হলেন ডাক্তার অর্ঘ্য বসু| চলুন জেনে নেওয়া যাক, কি কি কারণে ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে|
প্রথম যে কারণটি বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য তা হলে দিনের বেলা রোদের মধ্যে ঘোরাঘোরি| দেখুন, আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর জন্য ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদ লাগানোই যথেষ্ট, তাও সেটি ভোর থেকে খুব দেরি হলেও সকাল ১১টার মধ্যে| কিন্তু যে মরসুমই হোক না কেন দুপুর ১২টা থেকে ৩টের রোদ খুবই মারাত্মক| যতটা সম্ভব এই সময়ের রোদ এড়ানোর চেষ্টা করুন| আমাদের ত্বকে অস্বাভাবিক কোষ তৈরি হয় এই অতিরিক্ত অতিবেগুনী রশ্মির জন্য| এই UV রশ্মি আমাদের স্কিনের মধ্যে অবস্থিত DNAকে প্রচুর পরিমান ক্ষতি করে|
সাধারণত মুখে মেক আপ মেয়েরাই করেন| কিন্তু বর্তমান যুগে ছেলেরাও অল্প বিস্তর মেক আপ করছেন| সেটা মাঝে মধ্যে চলতেই পারে| পুজোতে, কোনো অনুষ্ঠানে বা বেড়াতে গেলে সবাই সাজতে গুজতে ভালোবাসে| কিন্তু এই মেক-আপই যখন প্রতিদিনের জীবনে জায়গা করে নেয়, তখনই বিপত্তিটা ঘটে| অনেকে আবার ঘরের মধ্যেই মেক-আপ করে থাকেন| মেক-আপে অত্যাধিক পরিমানে কেমিকাল থাকে,যা দিনের পর দিন ব্যবহার করতে করতে ক্যান্সারের মতো ভয়ানক রোগও ডেকে আনতে পারে| দৈনন্দিন জীবনে এই মেক-আপ যতটা পরিহার করতে পারবেন ততই মঙ্গল| সম্ভব হলে মেক-আপ বিহীন থাকুন|
এর পরের কারণটি হলো অত্যাধিক কসমেটিক ব্যবহার করা| আমরা প্রত্যেকেই ঘরে দৈনন্দিন বিভিন্ন কসমেটিক ব্যবহার করি| যেমন ফেস ক্রিম, বডি লোশন, ফেস ওয়াশ ইত্যাদি আরো অনেক কিছুই| এই সব ছাড়াও বর্তমান যুগে শরীর ও মুখ চকচকে রাখার জন্য প্রায়ই আমরা পার্লারে গিয়ে ব্লিচ, প্যাক, ফেসিয়াল করে থাকি| সেখানে তারা কি ব্র্যান্ড বা কোম্পানির প্রোডাক্ট ব্যবহার করছে, সেগুলি অনেক সময়ই জিজ্ঞাসা করি না| তাতেই আমরা নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনি| সব থেকে ভালো হয় যদি সেই সব প্রোডাক্ট আমরা নিজেদের থেকে দিয়ে পার্লারের কাজ করাতে পারি| নিজেরা যখন প্রোডাক্ট কিনবেন, প্রোডাক্টের পিছনে বিভিন্ন তথ্যাদি বিশদে লেখা থাকে, তা সম্মন্ধে জেনে নিয়ে তারপর কিনবেন| অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ড ও কোম্পানির প্রোডাকটি কিনবেন| কিন্তু তাও ভালো হবে যতটা পারবেন ঘরের তৈরী জিনিস দিয়ে রূপ চর্চা করবেন| অতিরিক্ত কেমিকাল আমাদের ত্বকের জন্য একদমই ভালো নয়| স্কিন ক্যান্সারের মতো রোগের সৃষ্টি করতে এর জুড়ি মেলা ভার|