Appropriate physical activity for cancer patients

Card image cap

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে ক্যান্সার চিকিত্সার আগে, চিকিত্সার সময় এবং পরে নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস বেশ নিরাপদ এবং সহায়ক। এরফলে যেমন জীবনের মান উন্নত হয় তেমনই শারীরিক শক্তিও বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা ক্যান্সার চিকিত্সার নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মোকাবেলায় সহায়তা করে এবং ভবিষ্যতেও নতুন করে ক্যান্সার ফিরে আসার ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। অত্যধিক সময় বিশ্রাম করলে বা বসে থাকলে শরীরের কার্যকারিতা হ্রাস পায়, পেশীর দুর্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের গতির পরিসর হ্রাস হতে পারে।  ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডঃ অর্ঘ্য বসুর মতে, ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার আগে, সময় এবং পরে যতটা সম্ভব শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা উচিত।

 ক্যান্সার চিকিৎসার আগে, সময় এবং পরে নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা কীভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারে:
 শরীর এবং মস্তিষ্ককে আরও ভালভাবে কাজ করতে সহায়তা করে
 ক্লান্তি কমায়
 হতাশা এবং উদ্বেগ কমায়
 ভালোভাবে ঘুমাতে সাহায্য করে
 শারীরিক ক্ষমতা উন্নত করে
 পেশীর শক্তি, হাড়ের স্বাস্থ্য এবং গতির পরিসর উন্নত করে
 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
 ক্ষুধা বাড়ায়
 স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে
 স্তন ক্যান্সার-সম্পর্কিত লিম্ফেডেমায় সাহায্য করতে পারে
 কিছুক্ষেত্রে ক্যান্সার ফিরে আসার সম্ভাবনা হ্রাস করে
 জীবনের মান উন্নত করে
 চিকিত্সার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হ্রাস করে

 ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠার পর উপযুক্ত সাধারণ শারীরিক কার্যকলাপ:
 নিষ্ক্রিয়তা এড়িয়ে চলুন এবং চিকিত্সার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক দৈনন্দিন কার্যকলাপে ফিরে আসুন।
 ধীরে ধীরে নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপে অংশ নিন।
 প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ২ দিন প্রশিক্ষণ ব্যায়াম করুন।
 প্রতি সপ্তাহে অন্তত ২ দিন স্ট্রেচিং ব্যায়াম করুন।

 নিয়মিত ব্যায়াম করার রুটিন বজায় রাখার টিপস:
 স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
 মজা করে ব্যায়াম করুন। যেমন, যোগব্যায়ামের সাথে নাচ বা জুম্বা করতে পারেন।
 ব্যায়ামের অগ্রগতি রেকর্ড করতে চার্ট বা ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যবহার করুন।
 আপনার কৃতিত্বগুলিকে স্বীকৃতি দিন এবং পুরস্কৃত করুন।

 আপনার দৈনন্দিন রুটিনে শারীরিক কার্যকলাপ যোগ করুন
 ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডঃ অর্ঘ্য বসুর মতে, প্রতিদিন অল্প হলেও শারীরিক কার্যকলাপ করা উচিত। যেমন-
 রাতের খাবারের পর একটু হাঁটাহাঁটি করা
 সাইকেল চালানো
 নিজের গাড়ি নিজে ধোওয়া
 বাচ্চাদের সাথে আউটডোর গেম খেলা
 কুকুর থাকলে তাকে হাঁটাতে নিয়ে যাওয়া
 গাছে জল দেওয়া
 লিফট বা এসকেলেটরের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করা

যেকোনো ব্যক্তির জন্য তাদের দৈনন্দিন রুটিনে নিয়মিত ব্যায়াম করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা একটি বড় কাজ হতে পারে, বিশেষত ক্যান্সার রোগীদের জন্য। আপনার যদি দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা থাকে তবে এটি আরও কঠিন হতে পারে, বিশেষত যদি আপনি রোগ নির্ণয়ের আগে ব্যায়াম করতে অভ্যস্ত না হন। এক্ষেত্রে ধীরে ধীরে ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আবার ক্যান্সার ধরা পড়ার আগে নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস থাকলে তার তীব্রতা এবং সময়সীমা কমাতে হতে পারে।

Read More →