Signs and Symptoms of Bowel Cancer
আটা ও ময়দা দূর থেকে এক রকম ভেবে আমরা অনেকেই গুলিয়ে ফেলি| কিন্তু যত কাছ থেকে সময় নিয়ে দেখি তত এর বিস্তর ফারাক বুঝতে পারি| তেমনই কঠিন রোগের এমন কয়েকটি লক্ষণ আছে যা প্রাথমিক অবস্থায় আমরা সাধারণ রোগের লক্ষণ ভেবে ভুল করি| কিন্তু যতই দিন যেতে থাকে ধীরে ধীরে এর আসল সত্যতা ধরা পরে| অন্ত্রের ক্যান্সারের কিছু লক্ষণের সঙ্গে পাইলস এর লক্ষণের মিল আছে| তাই সেই বিষয় নিয়ে জনসাধারণকে অবগত করতে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বিস্তর আলোচনা করেছেন| তেমনই কলকাতার শ্রেষ্ঠ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একজন হলেন ডাক্তার অর্ঘ্য বসু| তিনি একজন সুদক্ষ ক্যান্সার অস্ত্রোপচারকও| চলুন জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন চিকিৎসকদের মতামত|
প্রাথমিক লক্ষণ:-
দেখুন, পাইলস হলে মূলত মলদ্বারে চুলকানি হয়| পায়খানা করার সময় তিব্র জ্বালা যন্ত্রনা শুরু হয়ে যায়| এমনকি রক্তও বেরোতে শুরু করে| এগুলি পাইলসের যেমন সাধারণ লক্ষণ, তেমনই তা দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে অন্ত্রের ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায়|
অন্যান্য লক্ষণ:-
কিছু কিছু লক্ষণ যা প্রাথমিক লক্ষণের পরেই প্রকাশ পায়| কিন্তু এটা সাধারণ পাইলস হলে প্রকাশ পাবে না| পাবে তখনই, যদি কঠিন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে| যেমন, ক্রমশ খিদে কমে যাওয়া, আর কম খাওয়ার ফলে শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে পরা, তার সঙ্গে ওজন কমে যাওয়া|
ক্যান্সার ছড়ানোর উপসর্গ:-
ক্যান্সার শরীরে ছড়াতে শুরু করলে পাল্লা দিয়ে উপসর্গও অল্প থেকে বাড়তে থাকে| সারাক্ষণ ধরে পেটের যন্ত্রনায় রোগী কাতরাতে থাকে| পায়খানার স্থানে অসহনীয় ব্যথায় ভোগে| বার বার মূত্র ত্যাগ করে| মূত্র ত্যাগের সময়ও রক্ত বের হতে পারে|
পায়খানার ধরণের পরিবর্তন:-
এখানে যে উপসর্গগুলি দেখা যায়, তাতে বুঝে নিতে হবে যে এটা কোনো সাধারণ রোগ নয়| পায়খানা দিয়ে অনবরত আম পরা| আবার কোনো সময় সাংঘাতিক শক্ত পায়খানা হয়, পরক্ষনেই পাতলা জলের মতো পায়খানা হয়| পায়খানা করে এসেও মনে হয় যে ঠিক মতো পেট পরিষ্কার হয়নি| অনেক সময় খুব ভোরে পায়খানার বেগ পায়, যা আগে খুব একটা পেত না বা অন্য সময় পায়খানা যাওয়ার অভ্যাস ছিলো| একেক সময় দিনে অনেকবার পায়খানা হয় আবার কোনো কোনো সময় পায়খানাই হয় না|
ক্যান্সারের উপসর্গ কতটা আলাদা:-
পাইলস হলে পায়খানার স্থানে ভিতর থেকে একটা মাংস পিন্ড মতো বের হয়ে থাকে| তাছাড়া নির্গত রক্তের রঙ লাল হয়| কিন্তু অন্ত্রে ক্যান্সারের আগমন ঘটলে রক্তের রঙ কিন্তু বদলে যায়| কোনো সময় কালো আবার কোনো সময় বাদামি| আরো কয়েকটি অতিরিক্ত লক্ষণ যুক্ত হয়| যেমন বমি ভাব সারাদিন ধরে লেগেই থাকে তার সঙ্গে শরীর থেকে রক্ত কমে যেতে থাকে|
ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে, তখনই যদি চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যায়, তাহলে রোগীর বাঁচার ও সুস্থ্যতার হার অনেকটাই বেশি নিশ্চিত থাকে| তাই এই রকম কোনো উপসর্গ বুঝলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ও তার পরামর্শ নিন|