Early symptoms of lung cancer
পৃথিবীতে প্রতি বছর ১৩ লাখ মানুষ মারা যান এই ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণে| তার মধ্যে বেশিরভাগই পুরুষ| কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই রোগে মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন| প্রায় বছর খানেক ধরে চিকিৎসা করার পরেও বাঁচার হার অনেকটাই কম থাকে| কিন্তু পূর্বাভাস আগে থেকে পেলে যদি তৎক্ষণাৎ সতর্কতা অবলম্বন করা যায়, তাহলে কিছুটা হলেও বিপদ থেকে বাঁচার পথ পাওয়া যায়| তাই মনে করছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা| তেমনই কলকাতার শ্রেষ্ঠ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একজন হলেন ডাক্তার অর্ঘ্য বসু|
এই রোগের শুরুতেই যা হয় তা হলো কাশি, শুধু তাই নয়, তার সাথে বেরোয় রক্ত| কাশি ক্রমশ বাড়তেই থাকে| শুকনো কাশি থেকে, কফ সমেত কাশি হয়| দিনের বেলার থেকে রাতে কাশির পরিমান বেড়ে যায়| যারা ধূমপান করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গগুলি আরো বেশি পরিমানে দেখা যায়| আরেকটি উপসর্গ বিশেষ করে তাদের মধ্যেই দেখা যায়, তা হলো ফুসফুসের কোনো একটা নির্দিষ্ট জায়গায় প্রত্যেকবার সংক্রমণ হয়|
এই অতিরিক্ত কাশির থেকেই সূত্রপাত ঘটে যায় বুক ব্যথার| তবে এই লক্ষণ তুলনামূলক কম রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা যায়| যদি আপনার অল্প ব্যাথা হয়, তাহলে বুঝবেন টিউমারটি ফুসফুস ঝিল্লির আশেপাশে হয়েছে, সেক্ষেত্রে কয়েক দিন পর পর বুকে ব্যাথা হয়, কিন্তু যদি টিউমারটি ফুসফুস ঝিল্লির ভিতরে হয়, তাহলে প্রায় প্রতিদিনই বুকে তীব্র যন্ত্রনা হয়|
এর পরবর্তী ধাপে শুরু হয় জ্বর আসা| অনবরত জ্বর আসতেই থাকে| কোনো অসুধেই কাজ হয় না|
নজর রাখতে হবে যে আঙ্গুল ফুলে যাচ্ছে কি না| কারণ এটি ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণগুলির ক্ষেত্রে একটি| এই রোগ হলে আঙুলের গোড়ার দিক এবং নখের চারপাশে অস্বাভাবিক ফোলাভাব ফুটে ওঠে|
তাছাড়া হটাৎ করেই বাতের রোগ হয়| সে ব্যথা এমনিই যন্ত্রণাদায়ক হয় যে হাঁটা চলা তো দূরের কথা সামান্য শরীর নাড়াতেও প্রচন্ড কষ্ট হয়| বিশেষ করে হাঁটু, কব্জি ইত্যাদি জয়েন্টের মতো জায়গায় খুব ব্যথা হয়|
এছাড়াও মাঝে মধ্যে রক্ত বমি হয়| শ্বাস কার্য চালাতেও প্রচন্ড কষ্ট হয়| কোনো কারণ ছাড়াই ব্যক্তি খুব দ্রুত রোগা হতে থাকে|
যদি এই সব লক্ষণগুলি আপনার শরীরে দেখতে পান, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন|