Hair Loss During Cancer Treatment

Card image cap

ক্যান্সারের নাম শুনলে, প্রথমেই মাথায় আসে চুল পড়ার কথা। তবে এটি ক্যান্সার চিকিৎসার একটি সাময়িক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মাত্র। ক্যান্সার চিকিৎসা ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ছাড়াও চুল পড়ার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে আলোকপাত করলেন বিশিষ্ট   ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডঃ অর্ঘ্য বসু।

চুল পড়ার সূচনা কখন ও এর কারণ কী?
সাধারণত ক্যান্সার চিকিৎসা শুরু হওয়ার ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর চুল পড়া শুরু হয়। চুল পড়ার প্রধান কারণগুলি হল কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি এবং হরমোন থেরাপি। এছাড়া ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ এবং ডোজের উপর নির্ভর করে সম্পূর্ণ টাক পড়তে পারে, বা চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে। মাথার চুল ছাড়া শরীরের অন্যান্য জায়গা যেমন, চোখের পাপড়ি এবং ভ্রু-এর চুলও এর দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।

 কেমোথেরাপি: দ্রুত বর্ধনশীল ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলার জন্য তৈরি করা কেমোথেরাপির ওষুধগুলি কখনও অন্যান্য দ্রুত বর্ধনশীল, সুস্থ কোষগুলিকেও প্রভাবিত করে। যার মধ্যে রয়েছে চুলের শিকড়ের কোষগুলি।
 রেডিওথেরাপি: রেডিওথেরাপির কারণে শুধুমাত্র চিকিত্সাধীন জায়গায় চুল পড়ে যেতে পারে। মাথায় রেডিওথেরাপি করা হলে মাথার ত্বক থেকে চুল ঝরে যেতে পারে।
 অন্যান্য চিকিৎসা: অন্যান্য ক্যান্সারের চিকিৎসা, যেমন হরমোনাল থেরাপি বা টার্গেটেড থেরাপি আপনার চুলের পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

চুল পড়া রোধ করার উপায় কী?
চুল পড়া সম্পূর্ণরূপে রোধ করার কোনও সফল উপায় এখনও নেই। কিন্তু কিছু বিষয় চুল পড়া কমাতে এবং চুলের পুনঃবৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। যেমন –

 নরম ব্রিসলের চিরুনি ব্যবহার করুন।
 সমস্ত তাপভিত্তিক পদ্ধতিগুলি এড়িয়ে চলুন যেমন, স্ট্রেটনিং বা কার্লিং।
 হালকা, অ্যালকোহল ও সুগন্ধি-মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
 বাইরে যাওয়ার সময় মাথা ঢেকে রাখুন।
 চুল শুকানোর জন্য নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন।

নতুন চুল কখন গজাবে?
সাধারণত, চিকিত্সা সম্পূর্ণ করার ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে নতুন চুল গজাতে শুরু করে। প্রথমদিকে, চুলগুলি বাচ্চাদের মতো নরম হয়। চিকিত্সা শেষ হওয়ার প্রায় তিন মাস পরে চুল ঘন হয়।   বিশিষ্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডঃ অর্ঘ্য বসু ডঃ অর্ঘ্য বসুর মতে, নতুন চুলের সুস্থতা বজায় রাখতে নিম্নলিখিত কাজগুলি করতে পারেন –

 চিকিৎসার সময় মাথার ত্বক কোমল ও সংবেদনশীল হয়। তাই নিয়মিত একটি ঘন, নন-অ্যালকোহলযুক্ত লোশন দিয়ে মাথার ত্বক ময়েশ্চারাইজ করুন।
 তেল দিয়ে নিয়মিত ম্যাসাজ করলে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
 চুলের শুষ্কভাব এড়াতে, ঘুমাতে যাওয়ার সময় তুলোর বদলে সিল্কের বালিশ ব্যবহার করুন।
 সমস্ত তাপভিত্তিক পদ্ধতিগুলি এড়িয়ে চলুন যেমন, স্ট্রেটনিং বা কার্লিং।
 কোমলভাবে চুল ব্রাশ করুন।

Read More →